আরব আমিরাতে কেন যাচ্ছেন পোপ?

প্রথমবারের মতো আরব আমিরাত সফর করতে যাচ্ছেন খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) আবুধাবিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে পোপের। খ্রিস্টান ধর্মের কোনো শীর্ষ নেতা এই প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন।

আন্তঃধর্মীয় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আবুধাবি’র যুবরাজ শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের আমন্ত্রণে আবুধাবি সফর করবেন পোপ।

ঐতিহাসিক এই সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এক জমায়েতে উপস্থিত হবেন পোপ, যেখানে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে খ্রিস্টান ধর্মের শীর্ষনেতা কী বলেন – সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।

ইয়েমেনে অবরোধ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক হিসেবে আরব আমিরাতও রয়েছে, যেই অভিযান সমালোচনা করে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন পোপ।

গতবছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পোপ আহ্বান করেছিলেন যেন ‘ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়কে আরো দুর্বিষহ’ করে তোলা না হয়।
আরব আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ রোমান ক্যাথলিক রয়েছেন, যাদের সিংহভাগ ফিলিপিন্স বা ভারতীয় বংশদ্ভূত।

বৃহস্পতিবার পাঠানো এক ভিডিও মেসেজে পোপ বলেন, “ভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ দেয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।”

সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তিনি ‘সহাবস্থান, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার মিলনস্থল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আবুধাবি সফরকালে পোপ কায়রো’র আল-আজহার মসজিদের প্রধান ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সাথে দেখা করবেন। আল আজহার মসজিদের প্রধান ইমামের পদবিকে সুন্নি মুসলিম শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে গণ্য করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিসের আরব আমিরাত সফর পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরবে গীর্জা তৈরিতে সেদেশের সরকারকে উদ্বুদ্ধ করবে।

সৌদি আরবে বর্তমানে অমুসলিম যেকোনো ধরণের উপাসনালয় নিষিদ্ধ।

সূত্র ; বিবিসি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top