আবরার হত্যা: ৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় চার আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (০৭ জুন) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এবং ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

আসামিদের পক্ষে ফারুক আহাম্মদসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইঞা জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইঞা এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ২ জুন বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়নের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। গত বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আসামিরা হলেন- বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে ও তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Share this post

scroll to top