আজ রাতেই আসামি সাইফুলের ফাঁসি : প্রস্তুত কেন্দ্রীয় কারাগার

সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে আজ রোববার রাতে। দুপুরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন।

রায় কার্যকরের পর বাগেরহাটের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফনের জন্য শেষ ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মামুন ও তার স্বজনরা।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. শাহজাহান আহম্মেদ জানান, সৌদি দুতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মামুনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্ততি রয়েছে। আজ রোববার (৩ মার্চ) রাতের মধ্যে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে রাত ১০টার দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হবে। এজন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ফাঁসির মঞ্চ ও ফাঁসি কার্যকরের জন্য জল্লাদ।

আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাইফুল ইসলাম মামুনকে গাজীপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকেই মামুন এ কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি আছেন।

দুপুর পৌনে ২টার দিকে সাইফুল ইসলাম মামুনের সঙ্গে তার মা, ভাই, বোন, খালা ও খালাতো বোনসহ পরিবারের প্রায় ১০-১২ জন সদস্য কারাভ্যন্তরে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন। তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক কথাবার্তা বলেন এবং প্রিয় খাবার খেতে দেন। রায় কার্যকরের পর তার লাশ গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য ইচ্ছে ব্যক্ত করেছে মামুন ও তার স্বজনরা। ফলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দাফনের জন্য তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড আজ রোববার রাতে কার্যকর করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্ততি রয়েছে।

জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ মার্চ ঢাকার গুলশানে কুটনৈতিক এলাকায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে গুলি করা হয়। পরের দিন ভোরে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে। আদালত ওই মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মামুনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রদান করেন। এ ছাড়া আদালত অপর তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান এবং একজনকে খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম মামুন বাগেরহাটের শরণখোলা থানার মধ্য খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top