ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে- এই ঘোষণার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। একদিন আগে পেঁয়াজের কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল তা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ১২০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ভাবছে সরকার।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। আমরা মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে আগে থেকেই কথা বলেছি। খুব তাড়াতাড়ি এই দুই দেশ থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের যে সিদ্ধান্ত ভারত সরকার গ্রহণ করেছে, তা রিভিউ করার জন্য আমারা আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একজন ক্রেতা ইমাম হোসেন বলেন, ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আরও বাড়তে পারে দাম, তাই অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনেছি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মোহাম্মদ মতিন হোসেন বলেন, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। আগের এলসি করা কোনো পেঁয়াজও আসেনি। পাইকারি বাজার থেকেই আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে আনতে হচ্ছে রাজধানীতে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাঁজারে ক্রস পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি প্রতি কেজি ৯০ টাকা। আর খুচরা বাঁজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজি।

রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ভারত কিছুদিন পর পর হঠাৎ করে পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সরকারের উচিৎ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসা।

একই বাজারের ক্রেতা মারুফ বিল্লা বলেন, যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরি করবে। সাধারণ ক্রেতারাও কিছু একটা শুনলে হুমড়ি খেয়ে পরে সেটার ওপর। এজন্যই বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে যান।