অনলাইন ক্লাসে পিছিয়ে ময়মনসিংহ

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের গুগল মিটের মাধ্যমে চলছে অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাসে পাঠদানে ময়মনসিংহ বিভাগ পিছিয়ে রয়েছে, এগিয়ে ঢাকা বিভাগ। ঢাকার পরেই রয়েছে খুলনা বিভাগ। তবে সবচেয়ে পিছিয়ে বরিশাল বিভাগ। এছাড়াও জেলা অনুযায়ী আবার সবচেয়ে বেশি ক্লাস হয়েছে চট্টগ্রামে। এরপরেই রয়েছে গাজীপুর, তৃতীয় অবস্থানে আছে মানিকগঞ্জ। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও যশোর।

রোববার দুপুর পর্যন্ত সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক অনলাইন পাঠ পরিসংখ্যানে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগে ক্লাস হয়েছে ৩২০১টি ও খুলনা বিভাগে ক্লাসের সংখ্যা ২২৭৪টি। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রামে ১৩৫২টি। তবে অন্যান্য বিভাগের অবস্থা খুবই করুণ। দেখা যায়, বরিশাল বিভাগে অনলাইন ক্লাসের সংখ্যা দিনে মাত্র ১৭৭, সিলেটে ৩৬৮, রাজশাহী ৩৯২, রংপুর ৫৫২ ও ময়মনসিংহে ৮৮৭টি ক্লাস হয়েছে।

এ বিষয়ে গাজিপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম পরিচালনায় দেশজুড়ে গুগল মিট ও এসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলছে। তবে জেলার শিক্ষক সংখ্যার উপর ক্লাসের সংখ্যা নির্ভর করছে।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা সংখ্যা ২৩টি। সেখানে শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। অন্যদিকে গাজিপুরের উপজেলা টঙ্গীসহ ৬টি। আর শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ৮৫০ জন। সে বিবেচনায় তিনি গাজীপুরের প্রাথমিকের পাঠদান নিয়ে সন্তষ্ট বলে জানান।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনলাইনে পাঠের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছেনা শিক্ষার্থী উপস্থিতি। প্রতিটি ক্লাসে ৫ জন শিক্ষার্থীকেও খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। এ বিষয়ে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী যে অংশ নিচ্ছেনা বিষয়টি এমন নয়। আমরা প্রতি ক্লাসে দুই অংকের শিক্ষার্থী পাচ্ছি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন দুটি কার্যক্রম চলছে। একটি হচ্ছে বাড়ি বাড়ি ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেওয়া অন্যটি হলো গুগল মিটের মাধ্যমে ক্লাস কার্যক্রম। যেহেতু এটি একটি নতুন বিষয় সেহেতু একটু সময় লাগছে। তবে আজও আমি একটি নতুন চিঠি ইস্যু করেছি, এ বিষয়ে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদেরকে যেনো সহযোগিতা করে তা জানানো হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মনিটরিং টুলস এ সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দুদিন বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে এ কার্যক্রমে আরো গতি পেয়েছে। আমি শিক্ষকদের বলেছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রতিদিন অন্তত দুটি করে ক্লাস নিতে হবে এবং অনলাইনে তা আপলোড করতে হবে।

অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। জানতে চাইলে মো. ইফতেখার হোসেন ভুঁইয়া আরো বলেন, উন্নত বিশ্বের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে তারা কিন্তু একদিনেই অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমের সুফল ভোগ করেনি। আমাদের ক্লাসে প্রথম দিকে ৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে এখন ১৫ জন উপস্থিত হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে করোনাকালে এটিকেই মেইনস্ট্রিম বলে ধরা হচ্ছে। এছাড়াও সতস্ফুর্ত সহযোগিতার জন্য তিনি শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান।

বরিশাল বিভাগে কেন ক্লাস কম জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, এখানে যে ক্লাস হচ্ছেনা বিষয়টি তা নয়, ক্লাস চলছে। মাত্র ১৭৭টি ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন তথ্য আমার জানা নাই। তবে আমরা চেষ্টা করছি।

Share this post

scroll to top