স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে এবং পুলিশে সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করে বর্তমানে অনলাইনে জিডি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও ময়মনসিংহে ৫টি থানায় এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮৮২টি অনলাইন জিডি করা হয়েছে। জেলখানায় আসামিদের ডাটাবেজ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে ‘৪র্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দপ্তরের আয়োজনে ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারটি ভার্চুয়াল ও ভৌত কাঠামোর সংমিশ্রণে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একাগ্র ইচ্ছায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টে চালু হয়েছে ও স্বয়ংক্রিয় ই-গেট উদ্বোধন হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন কল অথবা অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো স্থানে যেকোনো পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেবাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা গ্রহণ সম্ভব।
গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে বাংলাদেশে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়া, ই-গর্ভন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প খাত গড়ে তোলা।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই দুরহ একটি কাজ হলেও সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জনগণকে সচেতন করে কাজটি করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণেও পুলিশের নজরদারি রয়েছে। করোনা মহামারিতে সামনের সারিতে কাজ করতে গিয়ে পুলিশের এ পর্যন্ত ৮০ জন সদস্য মারা গেছেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন আরো বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। এই তাৎপর্যপূর্ণ বছরে আমাদের তরুণরা আরো নতুন প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা নিয়ে।