অতীতের রেকর্ড ভঙ্গ: কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে মিললো ৪ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ মিলেছে। এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে দানবাক্সে মিলল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার। শনিবার সন্ধ্যায় দানবাক্সের অর্থ গণনা শেষ হয়।

শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে মসজিদের সব দানবাক্স খোলা হয়। ১৫ বস্তার বেশি দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যের সঙ্গে মিলেছে অসংখ্য চিঠি। এসব চিঠিতে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের রয়েছে নানারকম আকুতি।

এর মধ্যে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতার হাত থেকে বাঁচতে এক অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর চিঠি পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীর চিঠিতে লেখা রয়েছে- ‘আমাকে বাঁচাও আত্মহত্যার হাত থেকে। আমি বাঁচতে চাই, আর নিতে পারছি না বেকারত্বের বোঝা। সবার খোঁচা দেওয়া কথা। একটা চাকরি হলে হয়তো বেঁচে যেতাম।’

ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস পর শনিবার সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। ১৫ বস্তারও বেশি দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার মিলেছে।

পাগলা মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, দানবাক্সে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রৌপ্যালংকার পাওয়া গেছে। এসব টাকা দিয়ে এখানে আন্তর্জাতিক মানের বহুতল কমপ্লেক্স তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

Share this post

scroll to top