‘অগ্নিসেনা’ উপাধিতে ভূষিত সোহেল রানা

বনানী এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সোহেল রানাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর। সোহেল রানার ত্যাগকে স্মরণ করে তাকে ‘অগ্নিসেনা’ উপাধি দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোহেল রানাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শহীদ অগ্নিসেনা সোহেল রানার মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে। যে মাটিতে তিনি বেড়ে উঠেছেন, সেই মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন।’’

এর আগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) ফায়ারম্যান সোহেল রানার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শোক জানান।

সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সোহেল রানার মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলন্সেযোগে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রে প্রতিনিধিসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। গার্ড অব অনার শেষে তারা সোহেল রানার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

পরে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে সোহেল রানার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ নিজগ্রাম কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের কেরুয়ালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। প্রথমে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৫ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৭ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সোহেল রানা ছিলেন পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি ছিলেন অবিবাহিত। ২০১০ সালে চৌগাঙ্গা শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি পাস এবং ২০১৪ সালে করিমগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top