৬ বছরের মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যদের ভিতরে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে আত্মহত্যার হার ছিল সর্বোচ্চ। মার্কিন সরকারি নথি ঘেটে উঠে এসেছে এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও মার্কিন সামরিক বাহিনীর সক্রিয় সদস্যদের আত্মহত্যার তথ্য প্রকাশ করতে চায় না কোনও মহলই।

তাও মিলিটারি ডট কম জানিয়েছে, গত বছরের শেষ তিন মাসে ২৮৬ জন সেনা আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে মেরিন ৫৭ জন, নাবিক ৬৮ জন, ৫৮ জন মার্কিন বিমান বাহিনী এবং ১০৩ জন সরাসরি মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।

মিলিটারি ডট কমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যাক ৩২১ জন সেনা আত্মহত্যা করেছিল। সামরিক বাহিনী প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করলে এবারও সেনাদের আত্মহত্যার সংখ্যা সমান হবে কিংবা তা ছাড়িয়েও যেতে পারে। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হচ্ছে- আমেরিকার বহু প্রতিষ্ঠান ও প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এই বিষয়ে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি হাতে নিলেও আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। যা কিনা ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে।

আইএসের শেষ ঘাঁটিতে প্রবল হামলা মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান বাহিনীর

গত বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সিরিয়া থেকে নির্মূল হয়ে যাবে ইসলামিক স্টেট বা আইএস গোষ্ঠী। সেই ঘোষণা মতো শনিবার রাত থেকে পূর্ব সিরিয়ায় আইএসের ঘাঁটিগুলোতে জোরদার হামলা চালাল মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রাটিক বাহিনী। গত কয়েক বছরে আমেরিকার সহযোগিতায় উত্তর এবং পূর্ব সিরিয়ার অধিকাংশ এলাকা থেকে মুছে গিয়েছে আইএস। ইরাক সীমান্তের কাছে পূর্ব সিরিয়ার কয়েকটি গ্রাম বর্তমানে তাদের দখলে। সেই গ্রামগুলো থেকে উগ্রবাদীদের উৎখাত করতে ব্যাপকভাবে হামলা হল। মার্কিন বায়ুসেনার সাহায্যে সিরিয়ান ডেমোক্রাটিক বাহিনী বা এসডিএফ ওই সব অঞ্চলে হানা দেয়। এই হামলায় আইএস ছত্রভঙ্গ বলে দাবি।

সিরিয়ান ডেমোক্রাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) মুখপাত্র মুস্তাফা বালি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ইরাকের কাছে কয়েকটি গ্রাম এখন আইএসের দখলে। আগে সিরিয়া এবং ইরাকের বৃহত্তম অংশ আইএসের দখলে ছিল। এখন অনেকটাই কোণঠাসা। বর্তমানে তাদের দখলে থাকা অঞ্চল আগের তুলনায় এক শতাংশও নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সাহায্যের উত্তর এবং পূর্ব সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন উগ্রবাদী মুক্ত। গত কয়েক সপ্তাহে আইএস উগ্রবাদীদের পরিবার সহ প্রায় ৩৭ হাজার নাগরিক ওই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

এসডিএফের মুখপাত্র আরো বলেন, শনিবার রাত থেকে উগ্রবাদীদের নিকেশ করতে লড়াই শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধ কত দিন চলতে পারে, তার কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি। শুধু বলেন, একটি উগ্রবাদীও বেঁচে থাকলেও লড়াই চলবে। সিরিয়ায় মানবাধিকার সম্পর্কিত ব্রিটেনের একটি নজরদারি সংগঠন জানিয়েছে, উগ্রবাদীরা ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখলেও মার্কিন সাহায্যে ওইসব এলাকায় ঢুকে পড়েছে এসডিএফ। রবিবার সকাল থেকে জোরদার লড়াই শুরু হয়েছে। গোলাবারুদের শব্দ বহুদূর পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে।

এসডিএফের মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৬০০ উগ্রবাদী এখনো আছে। তাদের বেশিরভাগই বিদেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে সিরিয়ার ৯৫ শতাংশ এলাকা আইএস দখল মুক্ত হয়েছে। এসডিএফের হাতে তিন হাজারের বেশি উগ্রবাদী ধরা পড়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, ঘাঁটি ধ্বংস করে খুশি হওয়ার কিছু নেই। সিরিয়াতে আইএস জঙ্গিদের স্লিপার সেল এখনও রীতিমতো সক্রিয়। উগ্রবাদীদের গ্রাউন্ডওয়ার্ক থামেনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top