৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহ কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত। জামিনের শর্ত না মেনে লন্ডনের ইকুয়াডর দূতাবাসে ঢুকে পড়ায় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তি দেয়া হয় বলে বিচারক জানান।

২০১২ সাল থেকে অ্যাসাঞ্জ ওই দূতাবাসে ছিলেন। গত ১১ এপ্রিল সেখান থেকে তাকে বের করে আনা হয়। ২০১০ সালে সুইডেনে শ্লীলতাহানির মামলায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করতে তৎপর ছিল লন্ডন পুলিশ।

গতকাল বুধবার দেয়া রায়ে বিচারক ডিবোরাহ টেলর বলেন, আইনের হাত থেকে বাঁচতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরা এ সময় চিৎকার এর এ রায়ের প্রতিবাদ জানান।

২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনের দুই মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু সব অভিযোগ অস্বীকার করেন অ্যাসাঞ্জ।

১১ এপ্রিল ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে বের করে দেয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের গোপন তথ্য হাতানোর অভিযোগ আছে। অ্যাসাঞ্জ মার্কিন সরকারের কম্পিউটার থেকে ওই সব গোপন নথি সরিয়েছেন।

লন্ডনে শুনানির সময় অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জানান, তার মক্কেল যা অন্যায় করেছেন, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আইনজীবীর দাবি, অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা ছিল, মার্কিন সরকার তাকে গ্রেফতার করে কিউবার গুয়ানতানামো কারাগারে পাঠিয়ে দেবে।

২০১০ সাল থেকেই বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামে চলে আসে উইকিলিকস। সেই সময় উইকিলিকস একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখানো হয় বাগদাদে একটি মার্কিন অ্যাপাচি হেলিকপ্টার রয়টার্সের দুজন সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন মানুষকে মেরে ফেলে।

এর পর থেকে উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বহু গোপন নথিপত্র ফাঁস করে দেয়। ফলে অনেক দেশের আক্রোশের মুখে পড়েন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top