হোটেল বিল ১৫০ কোটি টাকা

‘আপনারা শুনলে অবাক হবেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তারা হোটেল বিল দিয়েছে ১৫০ কোটি টাকার ওপর, ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া দিয়েছে আট কোটি টাকারও বেশি। বিদেশ থেকে যে টাকা আনে সেটা ভুক্তভোগী অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। ৭৫ ভাগই খরচ হয় এগুলো দেখাশোনা করার জন্য, ওনাদের জন্য। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি। অভিযোগের যথার্থতা নিরূপণের জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।’

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলো সম্পর্কে এভাবেই বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, অনেক এনজিও অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওখানে কিছু এনজিও আছে, ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টেও সেগুলো লক্ষ্য করছি, অনেক এনজিও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।’

খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা এনজিওদের সংখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের নামসহ দেয়ার জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমার থেকে আর না আসতে পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, ভাসানচর এলাকাটি বসবাসের উপযুক্ত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কোথায় রাখা হবে, সেটা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের বিষয়। বিদেশিরা তাদের মানবিক দিকগুলো দেখবে। আমাদের বিষয়ে নাক গলানোর তাদের দরকার নেই।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top