শেষ স্বপ্ন পূরণ হলোনা ড. সামাদের

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে হামলার ঘটনায় তিন বাংলাদেশীর মধ্যে নিহত হয়েছেন। তাদের একজন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর একজন কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. সামাদ আজাদ।

তিনি তার স্ত্রী কিশোয়ারাসহ দুই সন্তান তারেক মোহাম্মদ ও তানভির মোহাম্মদকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডে বাস করতেন। বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত।

কৃষিবিদ আবদুস সামাদের মৃত্যুর খবর স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ায় তার গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরীতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। পরিবারসহ স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরটি মেনে নিতে পারছেন না।

ড. মো. আবদুস সামাদ ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তথ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর গ্রহণ করার পর তিনি ৫ বছর আগে সপরিবারে নিউজিল্যান্ড চলে যান। সেখানে তিনি লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন। ২ ছেলে ও স্ত্রী তার সাথেই থাকতেন। বড় ছেলে ঢাকায় থাকেন।

নিহত বাংলাদেশী ড. সামাদ আজাদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড মধুর হাইল্যা গ্রামে। নিহত ড. সামাদ আজাদ চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সবার বড়। গ্রামের বাড়িতে এক ভাই থাকেন।

এলাকায় গিয়ে তার পরিবারের মাধ্যমে জানা যায়, নিহতের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

পরিবারের লোকজন জানান, নিহত ড. সামাদ আজাদ ২ বছর আগে সর্বশেষ গ্রামের বাড়ি ঘুরে গেলেও এবারে তার ভিন্ন পরিকল্পনা ছিলো। আগামী মাসে দেশে ফিরে এলাকায় একটি মাদ্রাসা করে দিবেন। আর ড. সামাদ আজাদের শেষ ইচ্ছাটুকু অপূর্ণ থেকে গেলো সন্ত্রাসীদের কারণে।

নিহতের ছোট ভাই প্রভাষক শামছুজ্জামান জানান, ড. সামাদ আজাদ আমাদের ১০ ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়। ৫ বছর আগে তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়ে নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি দুই ছেলে স্ত্রীসহ বসবাস করেন। সন্ত্রাসী হামলায় তার নিহত হওয়ার খবর শোনার পর নিউজিল্যান্ডে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল ইমরান জানান, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ড. সামাদ আজাদের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবার সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top