শর্ট বলে আউট হওয়ায় মনোযোগের ঘাটতি দেখছেন লিটন

সহায়ক উইকেট ও কন্ডিশনে শঙ্কা ছিল সুইং বোলিং নিয়ে। কিন্তু সুইং দারুণভাবে সামলে বাংলাদেশ ভেঙে পড়ল সেই চেনা রোগ শর্ট বলে। বৃষ্টির কারণে দুই দিন ঢেকে রাখা সবুজ উইকেটে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সুইংয়ের সেই চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে সামলে দলকে ভাল শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। সাদমান ২৭ রানে আউট হলেও দলের ইনিংস এগিয়ে যাচ্ছিল মসৃণভাবেই।

কিন্তু ওয়েগনার আক্রমণে আসার পর বদলে যায় দৃশ্যপট। এই বাঁহাতি পেসারের মূল অস্ত্র শর্ট বল। আর সে জন্যই সুইং বোলিংয়ের উপযোগী উইকেটে প্রথম ৩০ ওভারে তাকে বোলিংয়েই আনেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লাঞ্চের একটু আগে ওয়েগনার বল হাতে পেয়ে শর্ট বলেই শুরু করেন শিকার ধরা।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে শর্ট বলে ফেরান মুমিনুল হককে। লাঞ্চের ঠিক আগের বলে আরেকটি শর্ট বলে আউট মোহাম্মদ মিঠুন। লাঞ্চের পর ১০ ওভারের টানা স্পেলে শর্ট বলেই বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে সব মিলিয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েগনারই নিউজিল্যান্ডের সফলতম বোলার।

ওয়েগনারের উইকেট নেয়ার পথ মূলত এই একটিই। আগের টেস্টেও শর্ট বলের তোপেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। জানা থাকার পরও কেন সামলানো যাচ্ছে না ওয়েগনারের শর্ট বল? দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লিটন দাস বললেন, ২২ গজে গিয়ে জবাব পাচ্ছেন না ব্যাটসম্যানরা।

টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন দাস বলেন,‘নতুন বলে আমরা যেমন জানি সুইং করবে, এরপরও আমরা অনেক সময় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাই। তেমনি আমরা জানি সে শর্ট বল করবে। কিন্তু বলটা এমন জায়গায় রাখে, কিছু করার থাকে না। এখানে মনোযোগ আরও বাড়িয়ে বল আরও বেশি ছাড়লে হয়তো কিছু করা যাবে।’

শেষ ৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পেছনে মনোযোগের ঘাটতিই বড় করে দেখছেন এই ব্যাটসম্যান।

তিনি বলেন,‘দুই দিন খেলা হয়নি। তারপর খুব ভালো একটি শুরু পেয়েছিলাম আমরা। যে রকম শুরু হয়েছিল, আরেকটু ভালো করা যেত। ব্যাটসম্যানরা আরেকটু মনোযোগ দিয়ে খেললে আরও ভালো হতো। এরপরও দিনের শেষে ওদের দুটি উইকেট নিতে পেরেছি এটি ভালো দিক।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top