ওয়েলিংটনে বৃষ্টিভেজা মাঠে ভালোই করছিল বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১ উইকেটে ১১৯ রান। বেশ ভালো। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই বদলে গেল দৃশ্যপট। মধ্যাহ্ন বিরতির মিনিট দশেক আগে পরপর দুটি উইকেট নেই। মধ্যহ্ন বিরতেতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১২৭ রান। খুব খারাপ নয়। কিন্তু খেলা আবার শুরু হতেই সমস্যায়। চলে গেলেন আশা জাগানিয়া তামিম ইকবাল। তার বিদায় হতেই বাংলাদেশ দলের সাজঘরেও চলতে লাগল আসা-যাওয়ার পালা। ফলে ২১১ রানেই প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। ৬১ ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশ। চা-বিরতির আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।
সর্বোচ্চ রান আসে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ৭৪ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন লিটন দাস। তিনি করেছেন ৩৩ রান। এছাড়া সাদমান ইসলাম করেছেন ২৭ রান।
আউট হয়েছেন শাদমান ইসলাম (২৭), মুমিনুল হক (১৫), মোহাম্মদ মিঠুন (৩), তামিম ইকবাল (৭৪), সৌম্য সরকার (২০), মাহমুদুল্লাহ (১৩), তাইজুল ইসলাম (৮), মোস্তাফিজুর রহমান (০), লিটন দাস (৩৩), আবু জায়েদ (৪)।
বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তামিম ইকবাল আর শাদমান উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান করেছিলেন। তবে তারপরই সমস্যা সৃষ্টি হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির মিনিট দশেক আগে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১১৯ রান। যেকোনো বিচারে খুবই ভালো। কিন্তু নাছোরবান্দার মতো ওয়াগনার বাংলাদেশকে কাবু করতে ছিলেন বদ্ধপরিকর। তিনিই দুটি উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে আসেন পরপর দুটি উইকেট নিয়ে।
এর আগে গ্রিন ট্র্যাকেও তামিম ইকবাল আর শাদমানকে খুব একটা অসুবিধায় ফেলতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তামিম ছিলেন বিশেষভাবে আগ্রাসী। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর তিনিও বিদায় নেন। আরেকটি সেঞ্চুরির আশা জাগালেও তিনি ৭৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ওয়াগনার নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া বোল্ট পেয়েছেন ৩টি।
তিন টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। আর ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুদিন বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল।