লাশ খুঁজতে ৩০ লাখ টাকা দিলেন এমবাপে

ইবটসনকে খোঁজার জন্য তৈরি করা তহবিলে রোববার পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার পাউন্ড পরিমাণ অর্থ সংগৃহীত হয়। সংগ্রহকারীদের লক্ষ্য অন্তত ৩ লক্ষ পাউন্ড সংগ্রহ করা।

ফ্রেঞ্চ লিগে খেলা আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালা যেই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন, সেই বিমানের চালক ডেভিড ইবটসনকে খুঁজে বের করার জন্য তৈরি করা তহবিলে ২৭ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২৯৩২৩২৫ টাকা) দান করেছেন ফরাসি ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপে।

ফ্রান্সের নঁতে থেকে যুক্তরাজ্যগামী যে বিমানটি ২১ জানুয়ারি গোয়ের্নসে’র কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়, সেই বিমানের চালক ছিলেন ডেভিড ইবটসন।

দুর্ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর সমুদ্রের তলদেশ থেকে ফুটবলার এমিলিয়ানো সালা’র লাশ উদ্ধার করা হলেও ইবটসনের লাশ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইবটসনকে খোঁজার জন্য তৈরি করা তহবিলে রোববার পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার পাউন্ড পরিমাণ অর্থ সংগৃহীত হয়। সংগ্রহকারীদের লক্ষ্য অন্তত ৩ লক্ষ পাউন্ড সংগ্রহ করা।

বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে ছাড়াও তহবিলে অর্থ দান করেছেন ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক গ্যারি লিনেকার।

ফরাসি ক্লাব নঁতে থেকে ইংলিশ ক্লাব কার্ডিফ সিটিতে এমিলিয়ানো সালার ট্রান্সফারের খবর প্রকাশিত হওয়ার দু’দিন পরই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।

দুর্ঘটনার পর ২৪ জানুয়ারি সমুদ্রের নীচে খোঁজ সমাপ্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

এরপর সালা’র এজেন্ট ৩ লক্ষ ২৪ হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে আবারো তার লাশ খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেয়ার পর পাওয়া যায় ফুটবলারের মরদেহ।

বিমানচালক ইবটসনের পরিবারও এবার সেরকম একটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনুসন্ধান পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ইবটসনের পরিবার লিখেছে, “তিনি (মি. ইবটসন) একা রয়েছেন, এই বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না। আমরা তাঁকে ঘরে নিয়ে আসতে চাই যেন তাঁকে আমরা চিরনিদ্রায় সমাধিস্থ করতে পারি।”

যেভাবে হারিয়ে গেলো বিমানটি
২১ জানুয়ারি ফ্রান্সের স্থানীয় সময় সাতটা পনের মিনিটে একটি সিঙ্গেল টার্বাইন ইঞ্জিন বিমান সালাকে নিয়ে রওনা করে।

প্রায় ৫,০০০ ফুট ওপরে থাকা অবস্থায় এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলের সাথে যোগাযোগ করে অবতরণের অনুরোধ করে।

২,৩০০ ফুট ওপরে থাকা অবস্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানের সাথে, এরপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি বিমানটির।

অ্যালডারনির চ্যানেল দ্বীপে সোমবার রাতে বিমানটি হারায়। পাঁচটি বিমান ও দুটি লাইফবোট প্রায় ১,০০০ বর্গ মাইল জায়গা জুড়ে বিমানটির খোঁজ করে।

কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় খোঁজের।

পরে ব্যক্তিগত অর্থায়নে খোঁজ চালানো হলে এ সপ্তাহের শুরুতে বিমানের ধ্বংসাবশেষের কাছ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার সেটিকে সালা’র লাশ বলে ঘোষণা করা হয়।

বিমান চালক ইবটসনের লাশ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সূত্র : বিবিসি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top