লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে এসে অটোরিক্সা হারিয়েছে মো. নূর আলম (৩৫) নামে এক ব্যাক্তি। জীবিকার একমাত্র সম্বল (মিশুক) হারিয়ে চালক ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম আদালত পাড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুতেই থামছে না স্বামী-স্ত্রীর কান্না। রোববার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার কার দিকে লক্ষ্মীপুর জজকোর্ট প্রাঙ্গণে স্বামী-স্ত্রীর কান্নার দৃশ্য চোখে পড়ে এ প্রতিবেদকের এসময় চারপাশে উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে ছিলো।
নূর-আলম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের রাধা বাড়ীর মৃত নূরনবীর ছেলে। এছাড়াও সেই এক কন্যা সন্তানের বাবা। খবর পেয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) মো. জহিরুল আলম আদালত পাড়ায় এসে রিকশাচালক নূর আলমের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগী নূর আলম জানান, রোববার সকালে একটি মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। কোর্টের ৮ম তলায় হাজিরা দিতে যান। ওইসময় স্ত্রী মুক্তা বেগমকে রিকশায় বসিয়ে রেখে যান। দীর্ঘক্ষণ দেরি হওয়ায় স্ত্রী মুক্তা বেগম তার সন্ধানে কোর্টে যান। হাজিরা দিয়ে এসে দেখেন তার (মিশুক) গাড়িটি নাই। জীবিকার একমাত্র সম্বল (মিশুক) হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে স্বামী-স্ত্রী।
নূর-আলমের স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, ৫টি কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে অটোরিকশা (মিশুক) কিনি। এখন আমরা কিভাবে চলবো। কিভাবে কিস্তি পরিশোধ করবো। আল্লাহ ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। ভুক্তভোগী চালককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলছি। এছাড়া আমরা (পুলিশ) আদালতের যেসব সিসি টিভির ফুটেজ আছে। সেইগুলা সংগ্রহ করে অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান চালাবো।
উল্লেখ যে, আদালত এলাকায় চুরি নতুন ঘটনা নয় এর আগে একাধিক মটরসাইকেল ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন মালামাল চুুরি হওয়ায় অভিযোগ উঠে।