রাতেই ভোট শেষ, দিনে ভোট দেয়ার ব্যালট নেই

কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ভোটারবিহীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন শুরু হলেও কটিয়াদী উপজেলায় রাতেই ভোট মারা শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে সকাল পৌনে দশটার দিকে কটিয়াদী উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রের সবকটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

কটিয়াদীর দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, রোববার সকাল ৮টায় এ উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে খবর আসতে থাকে রাতেই নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলে উপজেলার ৮৯টি কেন্দ্রের সবকটিতে স্থায়ীভাবে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ উপজেলায় কবে ভোট হবে তা জানানো হবে।

এদিকে কটিয়াদীতে ভোটের অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদী থানার ওসি মো: শামসুদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্বে থাকা অন্তত ১৫ জনের মতো পুলিং এজেন্ট এ প্রতিনিধিকে ফোনে জানান, সকালে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেন ব্যালট বাক্স সিলমারা ব্যালটে ভরা। কোনো কোনো কেন্দ্রে সকালে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট পেপার পাননি ভোটারেররা। বিষয়টি তারা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান।

আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে কটিয়াদী উপজেলাসহ ১৩টি উপজেলার ৮৩৮টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কটিয়াদী ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে যে ধরণের উৎসাহ-উদ্দিপনা থাকার কথা তা দেখা যাচ্ছে না।

সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলার ২০টি কেন্দ্রে সরেজমিন ঘুরে ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে নিরাপত্তার কাজে ৩৯ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ২৬টি টিম কাজ করছে। পুরো জেলায় ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top