যৌন নিগ্রহের অভিযোগের পর আত্মহত্যা রকস্টারের, বিভক্ত সামাজিক মাধ্যম

ফের #Metoo ঝড় পাশ্চাত্যের আঙিনায়। এবার মেক্সিকোতে। তবে, এবার #Metoo-ইস্যুর জেরে প্রাণ গেল এক রকস্টারের। এক কিশোরীকে যৌননিগ্রহের জন্য #Metoo-র অভিযোগ ওঠায় আত্মহত্যা করলেন মেক্সিকোর জনপ্রিয় রকস্টার আর্মান্দো ভেগা গিল। পুলিশি সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর চারটা নাগাদ মেক্সিকান সিটিতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুর আগে টুইটারে একটি ‘চিঠি’ও টুইট করেন তিনি।

আর্মান্দো ছিলেন বোতেল্লিতা ডি জেরেজ নামে এক মেক্সিকান রক ব্যান্ডের স্রষ্টা এবং সেই ব্যান্ডের বেস প্লেয়ার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪। ‘‌#মিটুমিউজিকোজমেক্সিকানোস’‌ বা ‘‌#Metoo মেক্সিকান মিউজিশিয়ান্স’‌ শীর্ষক আন্দোলনে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট দেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড বোতেল্লিতা ডি জেরেজের প্রতিষ্ঠাতা আর্মান্দোর বিরুদ্ধে এক মহিলা অভিযোগ আনেন। তার বক্তব্য, তিনি যখন ১৩ বছরের কিশোরী ছিলেন তখন একদিন বাড়িতে ডেকে কীভাবে চুমু খেতে হয় তা শেখানোর অছিলায় যৌননিগ্রহ করেন আর্মান্দো। ওই অভিযোগের পর মানসিকভাবে রীতিমতো ভেঙে পড়েন ৬৪ বছরের রক শিল্পী।

টুইটার পোস্টে দেয়া তার ‘সুইসাইড নোটে’ তিনি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা #Metoo-র অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অপরাধবোধে নয়, অত্যন্ত অপমানিত হয়ে তিনি আত্মঘাতী হচ্ছেন। কারণ, এই অভিযোগের পর তার ছেলে কীভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত তিনি। আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ীও করে যাননি আর্মান্দো।

পুলিশ তার সুইসাইড নোট উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। বোতেল্লিতা ডি জেরেজের আরেক সদস্য পাওলা হার্নানডেজ বলেছেন, সোমবার ফোনে কথা বলার সময়ই আর্মান্দোকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত লেগেছিল তার। নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করলেও কীভাবে তা প্রমাণ করবেন তা বুঝতে পারছিলেন না ওই শিল্পী।

এদিকে, আর্মান্দোর মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া দু’ভাগ হয়ে গেছে। একপক্ষ যখন প্রশ্ন তুলেছে, নির্দোষ হয়ে থাকলে কেন তার প্রমাণ দিলেন না আর্মান্দো। অপর পক্ষের অভিযোগ, আদালতের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্মান্দোকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেছিলেন নেটিজেনরা। অসহায় হয়েই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top