যৌন উত্তেজক শরবত ও কয়েল উৎপাদনের দায়ে গ্রেফতার ১২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদনহীন যৌন উত্তেজক শরবত ও কয়েল উৎপাদনের দায়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার সকালে উপজেলার কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুমন মোল্লা, রকিবুল ইসলাম, ফয়সাল আহম্মেদ, রাজু বেপারী, খায়রুল আলম, হাবু বেপারী, রাকিব হোসাইন, আব্দুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, তাহমীদ ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও রাশেদ গাজী।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, উপজেলার কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত এম কে ফুডস ও এম এম কনজুমার নামে দুটি কারখানায় দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অনুমোদনহীন যৌন উত্তেজক শরবত, ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল।

তিনি জানান, এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এছাড়া এম.কে ফুডসের উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক ও লায়ন ফুডস শরবতগুলোতে প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রংসহ মোট ১৬ টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি আরো জানান, তারা এগুলো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে। এভাবে কারখানা ২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানির অবৈধ্য সংযোগ নিয়ে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করছে।

অভিযানে ৭ হাজার ৩০০ বোতল যৌন উত্তেজক শরবত, বিপুল পরিমাণ ভেজাল কয়েল ও পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। পরে তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ উক্ত কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share this post

scroll to top