ময়মনসিংহ শহরের বিদ্যুতের তার যাবে মাটির নিচ দিয়ে : জানালেন মন্ত্রী

মো. আব্দুল কাইয়ুম : ময়মনসিংহে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাক্কলন, ডিজাইন  এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজে পরামর্শ দিতে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি  এনার্জিট্রোন এবং আর অ্যান্ড ডি কে আই এস গ্রুপকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পিডিবি। ৫ই ফেব্রুয়ারী বুধবার পিডিবি তাদের অধীন চারটি বড় শহর অর্থাৎ ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে মাটির নিচে বিদ্যুতের তার নেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রাক্কলন, ডিজাইন  এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজে পরামর্শ দেবে পিডিবিকে। এমন তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,  ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সারাদেশের বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে। শুরুতেই দেশের চারটি অঞ্চল সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় এ কাজ করা হবে। পরে ওজোপাডিকো ও নেসকোর অধীনের এলাকাগুলোয় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মানসম্মত বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি আমরা।’ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঢাকা শহরে বিদ্যুতের তারের জন্য গাছের ডাল কেটে দেওয়া হচ্ছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা করা যাবে না। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার তিন বছর পর আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।  শুধু বিদ্যুতের তার নয়, কিছু সাবস্টেশনও মাটির নিচে নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবলিং ব্যয়বহুল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আমাদের যে বিদ্যুতের চাহিদা হবে তাতে মাটির ওপরের ওই তার দিয়ে সেটা সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।  আন্ডারগ্রাউন্ড করলেই হবে না, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা যতটা সম্ভব কম খুঁড়ে তার মাটির নিচে নিতে হবে। ’

বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে এই বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি)  সঙ্গে কোম্পানি দু’টি একটি চুক্তি সই করে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে এনার্জিট্রোন তাদের কাজ শেষ করবে। চুক্তিতে  পিডিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ এবং এনার্জিট্রোনের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার ওয়াহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘আমরা শুধু শতভাগ বিদ্যুৎ দিচ্ছি না, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। এক বছরের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।’

Share this post

scroll to top