ময়মনসিংহে পাতানো ম্যাচের সন্দেহভাজন ছিলেন ঢাকায়!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সাইফ স্পোর্টিং ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচটি পাতানো কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অবাক করা বিষয়, সেই ম্যাচে দলে না থাকা এক ফুটবলারও আছেন সন্দেহের তালিকায়

সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম আবাহনীর ২০ সদস্যের দলে জায়গা পাননি আব্দুল মালেক। দলে না থাকা বাকি খেলোয়াড়দের মতো তাঁকেও ঢাকায় রেখে সাইফের বিপক্ষে ‘অ্যাওয়ে ম্যাচ’ খেলতে ময়মনসিংহ গিয়েছিল আবাহনী। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। কিন্তু ম্যাচটি সমঝোতামূলক মানে পাতানো ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবাক করা বিষয় হলো, পাতানো খেলার সন্দেহে তলব করা চার ফুটবলারের মধ্যে আছেন সেই সময় ঢাকায় অবস্থান করা মালেকও!

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে পাতানো ম্যাচ নতুন কিছু নয়। তবে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচের সঙ্গে সমঝোতামূলক বা পাতানোর গুঞ্জন শোনা যায়নি। তবে চট্টগ্রাম আবাহনী-সাইফ গোলশূন্য ড্র ম্যাচটি সমঝোতামূলক ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে বাফুফে। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি তলব করেছে দুই দলের তিনজন করে মোট ছয় ফুটবলারকে। এর মধ্যে দুই দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ( সাইফ স্পোর্টিং) ও মোনায়েম খান রাজুকে ( চট্টগ্রাম আবাহনী) ডাকা হয়েছে তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য। বাকি চার ফুটবলার আছেন সন্দেহের তালিকায়।

সেই চার ফুটবলারের মধ্যে একজন ঢাকায় অবস্থান করা মালেক। তাঁর দলের অন্য খেলোয়াড় হলেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আওয়ালা মাগালান। আর সাইফের দুই খেলোয়াড় ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত ও ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল। এই ছয় ফুটবলারকে কাল সন্ধ্যায় ডেকেছে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি। এঁদের মধ্যে সাইফের দুই ফুটবলার ইয়াসিন ও জাফর এই মুহূর্তে দেশে নেই। তাঁরা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে বাহরাইনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে খেলছেন।

সেদিনের ম্যাচে খেলোয়াড় তালিকায় নেই আব্দুল মালেক ( ১৫ নম্বর জার্সি)। সমঝোতামূলক ম্যাচের সন্দেহ ও তলব করা ছয় ফুটবলার প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন বিভাগ আছে। তারা মনে হয় ম্যাচটি নিয়ে সন্দেহমূলক কিছু পেয়েছে। ফলে ম্যাচটির ভিডিও পাঠানো হয় পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির কাছে। তারা আমাদের টেকনিক্যাল লোকদের কাছে ভিডিওটি পাঠিয়ে দেখতে বলেন ম্যাচে খেলোয়াড়দের খামখেয়ালিপনা আছে কি না। আমাদের সব রিপোর্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তারা মিটিং করে ছয় ফুটবলারকে তলব করেন। জামাল ও রাজুকে ডাকা হয়েছে অধিনায়ক হিসেবে তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য। মূলত অভিযুক্ত মাঠে খেলা বাকি চার খেলোয়াড়।’

কিন্তু অভিযুক্ত চার ফুটবলারের মধ্যে মালেক মাঠে নামা তো দূরের কথা, সেদিন অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top