মুশফিকের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য জয় ভাইকিংসের

মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল চিটাগাং ভাইকিংস। কুমিল্লার দেয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে চার উইকেটের জয় পায় চিটাগাং। এর আগে থিসার পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ক্যামেরন ডেলপটকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত খেলেন মোহাম্মদ শেহজাদ। ইনিংসের প্রথম ৫ ওভারে ৫৮ রান তুলে নেন তারা।  ১৩ রানে ডেলপটের উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগাংয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাইফদ্দিন।

এরপর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ইয়াসির আলীকে এলবিডব্লিউ করেন থিসেরা পেরেরা। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকানো আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে আউট করেন শহীদ আফ্রিদি। ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪৬ রান করেন শেহজাদ। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১২ রান করে বিদায় নেন।

একপ্রান্তে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ভাইকিংস দলপতি মুশফিক। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৪১ বলে করেন ৭৫ রান। শেষ ওভারে ভাইকিংসের দরকার হয় ৭ রান। বোলিং আক্রমণে আসেন লিয়াম ডসন। চতুর্থ বলে ফ্রাইলিঙ্ক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নেন। ফ্রাইলিঙ্ক ৫ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এরআগে বিপিএলের ১৪তম ম্যাচে টস জিতে চিটাগাং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে দলটি। ওপেনার তামিম ইকবাল কোন রান না করেই আউট হয়ে যান। চিটাগাং ভাইকিংসের রবার্ট ফ্রাইলিঙ্কের করা দ্বিতীয় বলে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম।

এনামুলও ধরতে পারেননি দলের হাল। ১০ করে ফিরে যান আবু জায়েদের বলে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস লুইসকে সাথে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা। ২৪ রানে ইমরুল ফিরে যান খালেদ আহমেদের বলে। লুইস পায়ের ইনজুরিতে পরে মাঠ ছেঁড়ে উঠে যান ৩৮ রানে।

আফ্রিদিও দেখানোর মত কিছু করতে পারেনি। এরপর ব্যাট করতে আসেন থিসেরা পেরেরা। ৮টি ছয় ও ৩টি চারের সাহায্যে মাত্র ২৬ বলে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে মিরপুরে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন এই শ্রীলংকান।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন থিসেরা পেরেরা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে রবি ফ্রাঙ্কলিঙ্ককে (২, ৬, ৬, ৪, ৬, ৬) তিনটি ছক্কা এবং একটি চার হাঁকিয়ে ৩০ রান আদায় করে নেন পেরেরা। বিপিএলের ইতিহাসে এক ওভারে ৩০ রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েন পেরেরা।

পেরেরাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাইফুদ্দিন। এই অলরাউন্ডার করেন ১৮ বলে ২২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে কুমিল্লার খাতায় জমা পড়ে ১৮৪ রানের পাহাড়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top