ময়মনসিংহের নান্দাইলে শিশু হত্যা মামলায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। এছাড়া হালুয়াঘাটে মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ছালুয়াপাড়া গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী দিলীপ মিয়া ও ৫২ বছর বয়সী মোকসুদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হালুয়াঘাট উপজেলার আরেক আসামি হলেন ভাড়ালিয়া গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী সুরুজ মিয়া।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা ও রাত ১০টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব-১৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ২০০৯ সালের ২২ জুন রাত ৯টার দিকে ১০ বছর বয়সী শিশু পারভেজ তার পরিবারের সঙ্গে টিভি দেখা শেষে ঘরের বাইরে যায়। রাত ১০টার দিকে রাতের খাবারের জন্য তার পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে কোথাও না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বসতবাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে শিশু পারভেজের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত শিশুর বাবা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে দিলীপ, মোকসুদ ও মর্তুজের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আসামিরা আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে দুই বছর হাজত বাস করে জামিনে মুক্তি পান।
আগের ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্তরা পারভেজের চাচা বাচ্চুকে ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন। নিহতের পরিবার আবার তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
শিশু পারভেজ হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দিলীপকে মৃত্যুদন্ড এবং মোকসুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
অপরদিকে সুরুজ মিয়াকে ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক হাজার একশ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় মাদক মামলা করে র্যাব। এ মামলায় আসামি সুরুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।