ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ সদস্যকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স চালক সোহেল হ্যান্ডকাপ ফেরত দিয়েছেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চত করে বলেন, ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। মামলা করার বিষয়ে তারা বলতে পারবেন। তবে চালকেরা হাতকড়াটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।
জানা যায়, নিষেধ করার পরও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখায় পুলিশের সাথে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কনস্টেবল সোহেল রানা ও ফরহাদ হোসেন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে মমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, জরুরি বিভাগের সামনে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো নিষেধ। কিন্তু এই নিষেধ অমান্য করে বেলা ১টার দিকে একটি রোগীবিহীন অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে সেবাপ্রার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কেন অ্যাম্বুলেন্স এখানে দাঁড় করানো জানতে গেলে উপস্থিত একজন জানায় চালক দখাবার খেতে গেছেন। কিন্তু র্দীঘ সময় পরও অ্যাম্বুলেন্সটি না সারানোয় শাস্তি হিসাবে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনার জের ধরে বেলা আড়াইটার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সচালক আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা চালক সোহেলকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে ২০ থেকে ৩০ জন চালক সোহেলকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের বাধা দিলে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও ফরহাদ হোসেন আহত হন।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল এলাকার অ্যাম্বুলেন্সচালকরা।
এবিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, চালক সোহেলকে আটক করা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সচালক সংগঠনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।