ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে রাফিয়া সুলতানা রিয়া (১৬) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরের উপজেলার বাটাজোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত রাফিয়া সুলতানা রিয়া ওই এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে বাটাজোড় বি এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, আনুমানিক এক বছর আগে নিহত রাফিয়া সুলতানা রিয়ার সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার বগার বাইত এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রিপনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে রিপন সৌদি আরবে চলে যায়। বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছে। গত ৬ মাস আগে রিয়া তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। তখন থেকে রিয়া তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার দিন সকালে প্রাইভেট থেকে বাড়ি ফেরে রিয়া। বাড়ি ফিরে আবারও বেলা ১২ টার দিকে পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। স্কুলে যাওয়ার পথে বাটাজোড় বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে আখ থেকে মুখ বাধা একজন বেরিয়ে রিয়াকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হানপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত রাফিয়া সুলতানার বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার তিনদিন পর ছেলে সৌদি আরবে চলে যায়। মেয়েকে কিছুদিন পর সেখান থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসি। সে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বেলা ১২টার দিকে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে আখ ক্ষেত মুখ বাধা একজন বেরিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা মেরেছে তা জানা নেই। তবে, মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসার কিছুদিন মেয়ের ভরণপোষণ দিয়েছিল মেয়ের জামাই। তবে, বেশ কিছুদিন তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এই ঘটনা যে বা যারাই করে থাকুক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
ওসি আরও বলেন, কে বা কারা কুপিয়েছে, তা জানা যায়নি। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদুল আহমেদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করাসহ অপরাধী যেন দ্রুত গ্রেপ্তার হয়, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ নিহতের দাফন সম্পন্ন করার জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।