ভাগ্যে থাকলে ২ মিনিট দেরিই হয়

সব তো ‘নয়টার ট্রেন কয়টায় চলে’-এর মতো চলে না। তাই তো মাত্র দুই মিনিট দেরি হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিমানবন্দরের দরজা। আর তাতেই যেন প্রাণে বেঁচে গেছেন গ্রিসের এক যাত্রী। এখন ওই দুই মিনিটকে সারা জীবনের সবচেয়ে ভালো দুই মিনিট বলে মনে হচ্ছে তার কাছে।

গ্রিসের নাগরিক আন্তোনিস মাভরোপুলসের নাইরোরি যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছিলেন ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছতে তার দুই মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী তার বিমানে উঠার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফ্লাইট মিস করায় তিনি ফেটে পড়েছিলেন ক্ষোভে। এ অবস্থায় বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তুলেছিলেন।

কিন্তু তার ছয় মিনিটের মধ্যেই যে দুর্ঘটনার খবর এসে পৌঁছায় তাতে ক্ষোভের জায়গায় নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে শুরু করেন ওই যাত্রী। ওই দেরি জন্যই যে তিনি বেঁচে গিয়েছেন ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি থেকে।

গত রোববার নাইরোবিগামী ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ইটি-৩০২ ফ্লাইট আকাশে ওড়ার মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ৮ ক্রু ও ১৪৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। ওই ফ্লাইটেই ১৫০তম যাত্রী হিসাবে যাওয়ার কথা ছিল আন্তোনিস মাভরোপুলসের।
এত বড় একটি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর মাভরোপুলস জানিয়েছেন, রোববারটা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে ‘লাকি ডে’। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই দিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে পোস্ট করেছেন সেই ফ্লাইটের টিকিটটিও।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top