বিদেশের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভেনেজুয়েলার মাদুরোবিরোধী এমপিরা

ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় কমপক্ষে চারজন এমপি বিভিন্ন দেশের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টায় সমর্থন দেয়ার পর গ্রেফতার এড়াতে তারা এই কৌশল নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।

আনাদোলু বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, অ্যামেরিকো ডি গ্রাজিয়া নামের এক এমপি গ্রেফতার এড়াতে বৃহস্পতিবার রাজধানী কারাকাসের ইতালীয় দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। যে কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে তিনি অন্যতম। দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে তিনি টুইট করেছেন ‘আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য ইতালিকে ধন্যবাদ জানাই’।

একই দিন সকারে রিকার্ডো ব্ল্যাঙ্কো নামের আরেক এমপি কারাকাসে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনিও সেখানে আর্জেন্টিনার কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন।

এর আগের দিন বুধবার মারিয়ানেলা ম্যাগালনেস নামের এক এমপি ইতালীয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছেন গ্রেফতার এড়াতে।

আর পপুলার উইল পার্টির নেতা লিউপোলডো লোপেজ এপ্রিলের শেষ দিকে প্রথমে চিলির দূতাবাসে আশ্রয় নেন, পরে তিনি স্পেনের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে আশ্রয় নেন।

প্রসঙ্গত, দূতাবাস কিংবা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের অভ্যন্তরে সেটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যে দেশের দূতাবাস সেই দেশের নিয়ন্ত্রণেই চলে। যেমন ভেনেজুয়েলার ইতালীয় দূতাবাসের চার দেয়ালের ভিতরে ভেনেজুয়েলার কোন কর্তৃত্ব নেই, সেটি পুরোপুরি ইতালীয় কৃর্তেত্বে চলবে। যে কারণে দূতাবাসে আশ্রয় নেয়া লোককে সেই দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করতে পারে না।

এ বছরে জানুয়ারি থেকে ভেনেজুয়েলায় চলছে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো। তিনি নিজেকে অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলে সঙ্কটের ‍শুরু হয়। গুয়াইদোকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশগুলো ও তাদের অনেক ল্যাতিন মিত্র দেশ। অন্য দিকে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া, তুরস্কসহ অনেক দেশ। যদিও এখনো ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট মাদুরো।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top