বিজেপি প্রার্থীর উদ্ধত্য : ‘বাবরি ভেঙে বেশ করেছি’

ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদ প্রমাণ করতে গিয়ে বারবার নির্বাচনী আচরণ ভাঙছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এমনকি আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন দুই দফা ভুপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বীকে সতর্ক করেছে।

ভুপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, বাবরি মসজিদ ভেঙে বেশ করেছি। ওই ঘটনার জন্য তিনি রীতিমতো গর্ব বোধ করেন। তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার জন্য আমি গর্ব বোধ করি।’

লোকসভা নির্বাচনের দু’দফা হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি গর্বের সাথে বিষয়টি উল্লেখ করছেন।

টেলিভিশন চ্যানেল ‘আজতক’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাধ্বী বলেন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার কাজে আরো অনেকের সঙ্গে আমিও সামিল হয়েছিলাম। তার জন্য আমি গর্ব বোধ করি। কারণ, ওই মসজিদ আমাদের দেশের একটি কলঙ্ক ছিল।’

টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে সাধ্বী আরো বলেন, বাবরি ধ্বংসের জন্য দুঃখ বোধ করব কেন? আমি তো রীতিমতো গর্ব বোধ করি। যে ক’জনে মিলে সে দিন বাবরি ভেঙেছিলাম, তাদের মধ্যে তো আমিও ছিলাম। রামমন্দিরে কিছু আগাছা ছিল। আমরা সে দিন সেটা হঠিয়ে দিয়েছিলাম।

তার এ মন্তব্যের জন্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচন অফিসার তাকে দ্বিতীয়বারের মতো নোটিশ দেন।

এ নিয়ে চার দিনের মধ্যে দুই দফা কথার বোমা ফাটালেন বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা। এর আগেরবার তিনি মন্তব্য করেছিলেন মুম্বাই পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার এক সময়ের প্রধান ‘অশোক চক্র’ বিজয়ী মৃত হেমন্ত করকরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে তুলেছিলেন অত্যাচার ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে কমিশন তাকে প্রথম নোটিসটি ধরিয়েছিল।

এই সপ্তাহেই ভুপালে দলীয় কর্মীদের একটি সভায় সাধ্বী বলেন, ২০০৮ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাকে কয়েদখানায় ঢোকানোর পর আমার উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিলেন হেমন্ত। আমার শ্লীলতাহানিও করেছিলেন। সে জন্য আমি তাকে অভিশাপ দিয়েছিলাম। সেই শাপেই ২৬/১১ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। বীরত্বের সঙ্গে ২৬/১১-র ঘটনার মোকাবিলার জন্য পরে ‘অশোক চক্র’ দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল হেমন্ত করকরেকে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top