প্রতিবস্তা সারে ২শ’ টাকা বেশি নিচ্ছেন ডিলাররা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) তালিকাভুক্ত ডিলাররা অধিক মূল্যে সার বিক্রি করছেন।

সার উৎপাদন বন্ধসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ইউরিয়াসহ অন্যান্য সারে এ অধিক মূল্য আদায় করছেন ডিলাররা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১৭ জন বিসিআইসি ডিলার ও ৯৪ জন খুচরা সার ডিলার রয়েছেন। প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারের বাজার মূল্য ৮০০ টাকা হলেও ডিলাররা বর্তমানে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন। বস্তাপ্রতি ১শ’ থেকে দুইশ’ টাকা বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন চাষীরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কাজিপুরে মোট ১২ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরে চাষ করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি চাষ করা হয়েছে। চাষের শুরু থেকেই জমিতে সার দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ সুযোগে ডিলাররা সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। আর সুযোগমত চাষীদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা বেশি নিয়ে বিক্রি করছেন। একদিকে সারের কৃত্রিম সংকট অন্যদিকে বেশি দামের কারণে চাষীরা ইরি-বোরো চাষে হিমশিম খাচ্ছেন।

ভেটুয়া গ্রামের সামাদ ও চরগিরিশ গ্রামের কৃষক ঠান্ডু মিয়া জানান, ডিলারদের কাছে ঘুরে ঘুরেও সার পাচ্ছি না। আমার কমপক্ষে ৭ বস্তা সার দরকার। খুচরা সার ডিলারের মাত্র তিন বস্তা সার পেয়েছি। তা-ও প্রতিবস্তায় ১শ’ টাকা করে বেশি দিয়ে। এ অবস্থা হলে চাষাবাদ করবো কিভাবে!

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার জানান, বেশি ভাড়া দিয়ে সার আনতে হচ্ছে। তাছাড়া তাই বেশি দামে সার বিক্রি না করে উপায় নেই। কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি ঠিকমত মনিটরিং করছেন না।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কোনো কৃষক সারের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে বলে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top