নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিশোরী ধর্ষণ : ধর্ষক গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি হোটেলে নেশাদ্রব্য খাইয়ে চাঞ্চল্যকর কিশোরী ধর্ষণকারী মামলার মূল আসামীকে সোমবার রাতে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক সাহাদাত হোসেন (৩৮) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার মধুখালি গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকার হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ ১৬ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। উক্ত ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন।

ওই মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল সোমবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামী ধর্ষক সাহাদাতকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে র‌্যাবের নিকট ধর্ষণের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্য গাজীপুরে আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।

ঘটনার বর্ণনাতে সে জানায়, ২/৩ মাস পূর্বে জনৈকা মহিলা ভিকটিমের পারিবারিক দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম কিশোরীকে সুমন নামে এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমের সাথে উক্ত ব্যক্তির মধ্যে মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মাঝে সাহাদাত উক্ত ভিকটিমকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার পূর্বে সুমন নামের ব্যক্তি ভিকটিমকে গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরের পর দেখা করার জন্য বলে। কথানুযায়ী ভিকটিম দেখা করার উদ্দেশ্যে সোনারগাঁও থানাধীন পেরাব এলাকায় গেলে সাহাদাত নিজেকে সুমন পরিচয় দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের সাথে দেখা করে। পরবর্তীতে সাহাদাত ভিকটিমের সরলতার সুযোগে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হোটেল তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এ নিয়ে যায়। পরে হোটেলে ভাড়াকৃত একটি কক্ষে ভিকটিমকে নিয়ে সাহাদাত কোমল পানীয় এবং জুসের সাথে উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করায় এবং জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ ও মারাত্মকভাবে জখম করে।

তাছাড়া সাহাদাত গোপনে ধর্ষণ ঘটনার একাংশ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে এবং ধর্ষিতা তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ঘটনা গোপন রাখার জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়। উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top