না’গঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ৩টি ধর্ষণের ঘটনা

নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক পৃথক স্থানে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ফতুল্লা শিশু, বন্দরে গৃহপরিচারিকা এবং রূপগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এসব ঘটনা গ্রেফতার হয়েছে দুইজন।

ফতুল্লার শাহীবাজারে ৯ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক ধর্ষক পিঠা বিক্রেতা মো: শাহজাহানকে (৬৫) গ্রেফতার করেছে। শাহজাহান শাহীবাজার এলাকার মৃত হাসেম হাওলাদারের ছেলে। নিজ ঘরে ডেকে চিতই পিঠা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করে ধর্ষককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।

শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় কারারক্ষী মৃদুল হাসানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মৃদুল ছুটিতে রূপগঞ্জে বেড়াতে আসে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার থেকে স্কুলছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে বেড়াতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় তার নানা বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান বেপারীপাড়া মসজিদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যান। এ সময় ছাত্রী বাড়ির পাশর্^বর্তী দোকানে গেলে কারারক্ষী মৃদুল হাসান (২৩), ওই এলাকার সোলায়মানের ছেলে নিজাম মিয়া (২৪) ও গোলবক্স মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন (২২) স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে তারা ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় স্কুলছাত্রীর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পুলিশের সদস্য কিনা তা আমরা জানি না। এ ঘটনার অভিযুক্ত তিনজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শুক্রবার রাতে বন্দরে কিশোরী গৃহপরিচারিকা ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহিম ওরফে বিশুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ সেলসারদী এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা শিউলী বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মুখফুলদি এলাকার একটি মেয়ে (১১) সেলসারদী এলাকার পীর সৈয়দ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাওসংবার গ্রমের জান্নাত পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে বিশু মিয়াও একই মালিকের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। গত বুধবার রাত ১০টায় টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। পরে ধর্ষিতা বিষয়টি তার মাকে অবগত করলে তার মা বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top