ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, দেশে জালেম ও স্বৈরাচারী সরকার জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে। এই জালেম ও মিথ্যাচারদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, ইসলাম ও ঈমান বাঁচানোর আন্দোলন করতে হবে।
আজ শুক্রবার ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা চুরি হয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা আজ স্বাধীনতার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় যা ছিল তা আজ নেই।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারবিরোধী আন্দোলনে একসাথে লড়াইয়ে নামবে বলে আমি আশাবাদী।
এ লড়াই বাঁচার লড়াই। বরিশালে মুফতী ফয়জুল করীমকে অসম্মান করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেদিন যা বলেছে তা ঘৃণ্য, আমি এই বক্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের সাম্য ও ন্যায় বিচার হলে মুক্তিযোদ্ধারা আজ খেতে পারবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, মুসলমানদের দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্ত করছে সরকার।
মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা কাজ করবেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের উন্নয়নের কথা বলেন, এটা আমরা চাই না। দেশের জনগণ উন্নয়নের গণতন্ত্র চায়।
জাতীয় অস্তিত্ব আজ সংকটাপন্ন। তারা সীমান্তে পাখির মতো গুলি করা ভারতের পদলেহন করছে। এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা নিয়ে দুর্নীতি হয়। কোনো কোনো গণমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম করে একটি পক্ষ মুক্তিযুদ্ধকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে ইসলামী রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ্ব মনির হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি শরীফুল ইসলাম রিয়াদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির, মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
পরে সম্মেলনে ১১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম।