তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালা ছড়িয়ে দিতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

একেকটি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটবে, শিক্ষার্থী নিহত হবে আর একটি করে ফুটওভার ব্রিজ বানাবে সরকার। এর মাধ্যমে কী নিরাপদ সড়ক কায়েম হয়ে যাবে? এমন প্রশ্ন রেখেছেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, শিক্ষার্থী মরলে আন্দোলন হয় তাই সরকারের কিছুটা পদক্ষেপ দেখা যায়: কিন্তু প্রতিদিন কত মানুষ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হচ্ছে তার খোঁজ নেয় কে? বুধবার রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সড়ক অবরোধকারীরা এসব কথা বলেন।

আসিফ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুনেছি আবরারের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট হয়েছে। সকালে মেয়র আতিকুল সাহেব আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে কি আবরারকে ফিরে পাওয়া যাবে? আর অন্য যারা মারা যায় তার কী হবে? দূর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএকেও দায়ী করে এই শিক্ষার্থী।

তাসনিম দিবা নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, এর আগে আমাদের ছোট ভাই বোনেরা যখন নিরাপদ সড়কের আন্দোলন করেছিলো তখন তারা আঙুল দিয়ে রাষ্ট্রকে দেখিয়েছিলো দেশের পরিবহন খাত কতটা নাজুক। মন্ত্রী থেকে সাধারণ চালক, অনেকেই তখন ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে আর শিক্ষার্থীরা তাদের আটকে দেয়। তখন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই আশ্বস্ত করেছিলেন, এর মাধ্যমে রাষ্ট্র শিক্ষা নিবে; কিন্তু আশার বাণী বাস্তবায়ন হয়নি। এবার দাবি না মানা পর্যন্ত তারা রাজপথে থাকবেন বলে জানান এই আন্দোলনকারী।

জিকু নামে উত্তরার এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন সময়ে খবরে দেখি ফিটনেস ছাড়া দেশে ৬ লাখ গাড়ি চলছে। আট লাখ গাড়ির চালকের লাইসেন্স নাই। অথচ ট্রাফিক পুলিশকে দেখি মটর সাইকেলের ইনসুরেন্স কাগজ আছে কী না সেগুলো চেক করা নিয়ে ব্যস্ত। আর তার পাশ দিয়েই ফিটনেসবিহীন গাড়ি বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে গাড়ি চলে যাচ্ছে। তাদের বিষয়ে প্রশাসন নির্বিকার। নিরাপদ সড়ক আইনে দূর্ঘটনায় হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার দাবি জানান এই শিক্ষার্থী। এছাড়া নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন না হলে রাজপথ ছাড়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top