1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক
তদেন্তে ৩ শিক্ষক জড়িতের প্রমাণ মিলেছে : ভিকারুননিসার সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

তদেন্তে ৩ শিক্ষক জড়িতের প্রমাণ মিলেছে : ভিকারুননিসার সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

ময়মনসিংহ লাইভ কর্তৃক প্রকাশিত
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান এবং এক শ্রেণিশিক্ষককে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা তদন্ত কমিটি। এ জন্য ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি।

আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ওই তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করতে পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের কমিটি । এই তিন শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে।

এই তিন শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ৩ ডিসেম্বর রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফকে প্রধান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। তিন দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। এর আগেই তারা প্রতিবেদন দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিরুদ্ধে আরও নানা অনিয়মের বিষয় উঠে আসে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কমিটি তাদের (তিন শিক্ষক) প্ররোচক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন পুলিশও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারবে না। পরিচালনা কমিটিও বসে থাকতে পারবে না।’

হাইকোর্ট এই ঘটনায় কমিটি গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা আজকের মধ্যেই করা হবে।
গত সোমবার অরিত্রীদের শান্তিনগরের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এই ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করেন। আজও সকাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেইলি রোডের শাখার প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েক শ শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অনেক অভিভাবক।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ-শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে পল্টন থানায় মামলা করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। তাঁরা হলেন কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনা।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগ, রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাঁদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি (স্কুল থেকে দেওয়া ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
Mymensingh-IT-Park-Advert
Advert-370
Advert mymensingh live
©MymensinghLive
প্রযুক্তি সহায়তা: ময়মনসিংহ আইটি পার্ক