‘ট্রুডোর হারিয়ে যাওয়া সেই ভাই’ এখন আফগান সেলিব্রেটি

তাকে বলা হচ্ছে, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হারিয়ে যাওয়া ভাই’। কারণ তিনি দেখতে হুবহু ট্রুডোর মতোই। আফগানিস্তানের একটি ট্যালেন্ট শো’তে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। নাম আব্দুল সালাম মাফতুন। ট্রুডোর সাথে এই প্রতিযোগীর এতোটাই মিল যে, তিনি এখন সেলিব্রেটি বনে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিযোগিতায় জিতেও যাবেন তিনি।

২৯ বছর বয়সী মাফতুন একজন গায়ক। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার আগে তিনি বিয়ে বাড়িতে গান গাইতেন। তার বাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখস্তান প্রদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রামে।

ছোটপর্দার জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান আফগান স্টারের একজন বিচারক মাফতুনকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার চেহারার সাদৃশ্যের কথা না বলা পর্যন্ত তিনি বিষয়টি জানতেনই না।

লম্বাটে মুখমণ্ডল এবং গাঢ় বাদামী চুল ও চোখের মাফতুন আশা করছেন ট্রুডোর সাথে তার চেহারার এই সাদৃশ্যের জন্য তিনি আমেরিকান আইডলের আফগানিস্তান ভার্সনে অধিক ভোট পাবেন।

মাফতুন বলেন, ‘মানুষ আমার আসল নাম ভুলেই গেছে। সবাই আমাকে এখন জাস্টিন ট্রুডো বলে ডাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাস্টিন ট্রুডোর ছবি দেখার আগ পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’

আফগান গায়ক বলেন, ‘তার সাথে চেহারায় সাদৃশ্যের কারণে এই প্রতিযোগিতায় আমার জেতার সম্ভাবনা আরো অর্ধেক বেড়ে গেলো।’

মাফতুনের একটি হ্যাটপরা ছবি ও ট্র্রুডোর একটি ওয়েস্টার্ন স্টাইলের পোশাক পরা ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে আপলোড করা হলে প্রচুর লোক সেখানে কমেন্ট করে। মাফতুনের হ্যাটটি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পুরুষরা খুব পছন্দ করেছে।

আফগান স্টারে একটি ভিডিওতে তাদের এই সাদৃশ্যের ছবিটি কয়েকহাজারবার দেখা হয়েছে বলে বিচারকরা আলোচনা করেন।

ফেসবুকের ওই ছবির নিয়ে নেইলা আব্দুলজাদাহ নামে একজন কমেন্ট করেন, ‘ট্রুডোর হারিয়ে যাওয়া জমজ ভাই।’

ফউজিয়া জেরেহ লিখেন, ‘আমি মনে করি বলিউড সিনেমার মতো তারা জন্মের পরপরই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান এবং অবশেষে হারানো জমজ ভাইকে ফিরে পান।’

আরেকজন লিখেন, ‘মাফতুন ট্রুডোর কপি। আমি চাই আমাদের ট্রুডো এ বছরের আফগান স্টার চ্যাম্পিয়ন হোক।’

যদিও মাফতুনের কানাডায় যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও তিনি কোন না কোন সময় কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার আশা রাখেন।

তিনি বলেন, ‘তিনি চাইলে আমি তার সাথে দেখা করতে চাই। কারণ তিনি আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং আমি আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার এক দরিদ্র মানুষ।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top