জবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো এবং একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। অনতিবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্র্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, মেধাবী, সৃজনশীল ও মানবিক নেতৃত্ব উপহার দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নতুন কমিটি গঠনের পরে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা নিজ কর্মীদের মারধর, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিত্যদিন মারধর, চাঁদাবাজি, প্রশ্নফাঁস, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হতে শুরু করে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শাখা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য পদধারী নেতা ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে মহড়া দিতে থাকে। গত সোমবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবার দিনভর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে সংঘর্ষে সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি লতিফুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদের রাকিব ইসলাম, খবরপত্রের সোহাগ রাসিফসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় সাত-আটটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় তাদের হাতে ককটেল, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, হকি স্টিকসহ দেশীয় ধারলো অস্ত্র দেখা যায়। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর আগে কমিটি স্থগিত করে তাদের (বাতিল কমিটি) সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু চলমান বিবাদ থামাতে তারা ব্যর্থ হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top