জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে : রিজভী

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে পালন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানী ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী আরো বলেন, নির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করে জনগণ আমাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভীর সাথে দলের আরো বেশ কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেছেন।

এর আগে, রোববার সকালে হরতালের পক্ষে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলের একপর্যায়ে প্রতীকী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পড়ানো হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, হরতালকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর পরে ডাকা বিএনপির হরতাল অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। বেলা ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে ফল প্রত্যাখ্যান করে শনিবার সন্ধ্যায় হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ উভয় সিটি করপোরেশনে শনিবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস জয় পেয়েছেন। দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাপস ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ইশরাক পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

অন্যদিকে, উত্তরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আতিকুল ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

নির্বাচনে ভোটারদের স্বল্প উপস্থিতি, বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাজে প্রচলিত ব্যালট পেপারের বদলে পুরোপুরিভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়। এ নিয়ে ভোটার ও প্রার্থী উভয়ের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

ঢাকার দুই সিটিতে ভোটার রয়েছেন সাড়ে ৫৪ লাখেরও বেশি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রে ভোটারদের হাজির হওয়ার হার ছিল কম। নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য মতে ঢাকা উত্তরে ২৫ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সূত্র : ইউএনবি।

Share this post

scroll to top