প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, যে বিচারপ্রার্থী জনগণ আদালতের বারান্দায় বিচারের প্রত্যাশায় আসে তারা কেউ নয়, তারা এই দেশের মালিক। তাদেরকে বিচারিক সেবা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটা যেভাবেই হোক বাস্তবায়ন করতে হবে। দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বছরের পর বছর যদি আদালতের বারান্দায় কেউ ঘুরতে থাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এবং বিচার না পায়, হয়তোবা সে বলেও ফেলতে পারে যে দেশে বিচার-আচার নাই। আমরা এটা হতে দিতে পারি না। এজন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। আমরা যে উদ্দেশ্যে ৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছেন, এই রক্তের ঋণ পরিশোধ করবো পরিশ্রম করে দেশকে গড়ে অর্থনীতিসহ প্রতিটা ক্ষেত্রে যাতে দেশ এগিয়ে যায় এবং আগামী ২০/৩০ বছরে আমাদের অবস্থান হবে ইনশাল্লাহ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আস্তে আস্তে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মামলার জট ছাড়িয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো জানান, ২০২২ সালে সারাদেশের মধ্যে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এবছর অগ্রগতি আরো বেশি। এজন্য ময়মনসিংহ জেলা দেশের প্রথম ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ লাভ করেছে। তিনি ময়মনসিংহের বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি আদালত প্রাঙ্গনে জাজে’স গার্ডেনে বৃক্ষরোপন ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন। এসময় রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, হাইকোট বিভাগের রেজিস্ট্রার এস কে এম তোফায়েল হাসান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, স্পেশাল জজ মো. শাহাদত হোসেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুদীপ্তা সরকার, শাবরীনা আলী ও জয়নাব বেগম, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভ‚ঞা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, সাধারণ অ্যাডভোকেট আবুল কালামসহ আইজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান বিচারপতিসহ অতিথিবৃন্দ টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ##