চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে : টনি ব্লেয়ার

উগ্রপন্থা বা চরমপন্থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। আর বিশ্বের সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিরোধের জন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। দুবাইতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল এডুকেশন এন্ড স্কিলস ফোরাম আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন কনফারেন্সে এসব কথা বলেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

কনফারেন্সে বক্তব্য দেয়ার সময় টনি ব্লেয়ার সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫০ জন মুসলমানকে হত্যার জন্য উগ্রপন্থাকে দায়ী করেন। চরমপন্থা প্রতিরোধে শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন ব্লেয়ার।

তিনি বলেন, শিশুদের ছোট বয়সে থেকেই উগ্রপন্থা বিষয়ে সতর্ক করা দরকার। ছোটবেলায় যা শেখানো হয় প্রাপ্ত বয়সে খোলা মনে তা প্রকাশ করবে।

টনি ব্লেয়ার আরো বলেন, বিশ্বের সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উগ্রপন্থা প্রতিরোধের জন্য শিক্ষা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি করা দরকার। গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রভাবে জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ দূষন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিবেশ দূষন রোধে কিয়োটা প্রটোকল নামে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

উগ্রপন্থা প্রতিরোধের জন্যও কিয়োটা প্রটোকলের মতো একটি চুক্তি করতে হবে।জনগনের মনে যেনো ধর্মীয় ও মানসিক দূষণ না হতে পারে সেজন্য সরকারগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এর মাধ্যমেই চরমপন্থা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চরমপন্থা আজ কোন নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চরমপন্থা সমস্যা হিসেবে কাজ করছে। কোন দেশে ইসলামিক চরমপন্থী , কোন দেশে ডানপন্থী উগ্র জাতীয়তাবাদ, কোন দেশে ইহুদি বিদ্বেষ আবার কোন দেশে ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কেউ কেউ চরমপন্থার পথ অবলম্বন করে।

এসব উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন চরমপন্থা এখন কোন নির্দিষ্ট দেশের জন্য সমস্যা নয়। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একে প্রতিরোধের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top