‘কাশ্মিরে অস্ত্র হাতে নিলেই গুলি’

কাশ্মিরে এ বার যে অস্ত্র হাতে তুলে নেবে, তাকেই শেষ করে দেওয়া হবে। পুলওয়ামায় ১৭ ঘণ্টার এনকাউন্টারের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই হুমকি দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভূস্বর্গে কেউ নাশকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়লে তাদের বোঝানোর জন্য মায়েদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সেনা কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ঢিলোঁ।

তিনি বলেন, ‘কাশ্মিরের মতো জায়গায় মায়েদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে মায়েদের কাছে অনুরোধ করছি। যাদের সন্তান সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়েছে, তারা সন্তানকে বুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করতে মূল স্রোতে ফিরে আসতে বলুন। কেউ হাতে অস্ত্র তুলে নিলে যদি সে আত্মসমর্পণ না-করে তবে তাকে খতম করে দেওয়া হবে।’

পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস-দমন অভিযানে আমাদের লক্ষ্য স্থির। কেউ কাশ্মিরে একবার ঢুকে পড়লে আর বেঁচে ফিরবে না। হামলার পর থেকে আমরা শীর্ষ নেতৃত্বের উপরও নজর রাখছি। আইএসআই পাকিস্তান ও জইশ কম্যান্ডাররা এই হামলার পেছনে জড়িত।’

সোমবারের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘আমি জানাতে চাই যে, পুলওয়ামায় হামলার ১০০ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আমরা জইশ এর নেতৃত্বকে শেষ করতে পেরেছি।’

উত্তরাখণ্ড থেকে কাশ্মিরি ছাত্রদের বিতাড়িত করার হুমকি

কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় বাহিনীর গাড়িতে আত্মঘাতি বোম হামলাযর জেরে উত্তরাখণ্ড রাজ্য থেকে কাশ্মিরি ছাত্রদের বিতাড়িত করার হুমকি দিয়েছে বজরং দল। সোমবার সরাসরি এমনই হুমকি দিয়েছেন সে রাজ্যের বজরং দলের আহ্বায়ক বিশাল ভার্মা।

যুক্তরাষ্ট্রের হাফিংটন পোস্ট সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভার্মা দাবি করেছেন যে, কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর ছোড়া বন্ধ করলে এবং প্রত্যেক বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা তোলার শর্ত পূরণ করতে পারলে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে কাশ্মিরি ছাত্রদের, নতুবা নয়।

দেরাদুন, বিকাশ নগর এবং পুরোলার দায়িত্বে থাকা এই বজরং দলের স্থানীয় নেতার আরও শর্ত, কাশ্মিরের ওই ছাত্রদের উত্তরাখণ্ডে ফিরতে হলে আগে জম্মু ও কাশ্মিরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ নম্বর পরিচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। তিনি চান, সংবিধান সংশোধন করে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও যাতে জম্মু ও কাশ্মিরে জমি কিনতে পারেন এবং বসতবাড়ি তৈরি করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা না করলে সেই রাজ্যের ছাত্রদের উত্তরাখণ্ডে ঠাঁই হবে না।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top