কাশ্মিরের হামলা সম্পর্কে কী বললেন ট্রাম্প

কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হলে তা দারুণ একটি ব্যাপার হবে।

এর আগে অবশ্য তার আগেই নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন আগেই ভারতের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আত্মরক্ষার সব ধরনের অধিকার ভারতের রয়েছে। ভারতের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করে এ বার্তা জানান।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে পাকিস্তানকে উদ্যোগ নিতে হবে। টুইটারে তিনি লিখেন, সন্ত্রাস মোকাবিলায় আমরা ভারতের পাশে আছি। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার না করতে পারে তার ব্যবস্থা তাদেরকেই করতে হবে।

পুলওয়ামা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। খুব ভয়াবহ একটি হামলা ছিল এটি। এ ব্যাপারে আমার কাছে অনেক রিপোর্ট জমা পড়েছে। উপযুক্ত সময় এলে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাব। কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক হলে তা সব দিক দিয়েই ভালো হবে। বিশ্বের জন্য তা হবে একটি দারুণ ব্যাপার।

গত বৃহস্পতিবার কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়িবহরের ওপর এক আত্মঘাতী হামলায় ওই বাহিনীর ৪৪ জন নিহত হয়। পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। পরের দিন ওই ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে এক হামলায় এক সেনা সদস্য নিহত হন। রোববার রাতে পুলওয়ামার কাছেই আরেকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে জয়েশ-ই মোহাম্মদের দুই সদস্যকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় অভিযানকারী দলের একজন মেজরসহ চার সদস্য নিহত হয়।

এদিকে এ ঘটনায় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে পাকিস্তানে হামলা চালানোর কথা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আক্রান্ত হলেও পাকিস্তানও বসে থাকবে না।

তিনি অভিযোগ করেন, ভারতে কোনো ধরনের হামলা হলেই দিল্লি কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে বসে। পুলওয়ামা হামলায় যদি পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তা পাকিস্তানকে দিতে পারে। পাকিস্তান সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে।

এ হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলার ব্যবস্থা চেয়েছিল ভারত। কিন্তু চীনের হস্তক্ষেপে তাদের সে চেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়। এমনকি এ হামলার কিছু সময় পরই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পাকিস্তান গিয়ে যে বিশাল বিনিয়োগের চুক্তি করে আসেন তাতেও অস্বস্তিতে পড়ে ভারত। এরপরই মুখ খোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top