এসএমএস করেই জানা যাবে ভোট কেন্দ্র, এলাকা ও নম্বর

আপনার ভোটার নম্বর কত, কোন এলাকা, কেন্দ্র কোথায় তা জানা যাবে একটি এসএমএসের মাধ্যমেই। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার থেকে এ সেবা চালু হবে। আর শিগগিরই এসএমএস করার প্রক্রিয়াও জানানো হবে ইসি থেকে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন তিনি। এতে করে ভোটারা ঘরে বসেই আগে থেকে তাদের ভোট কেন্দ্র এবং কেন্দ্র নম্বর জেনে যেতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে।

এসময় ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। এর জন্য প্রয়োজেনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আরও হবে। তিনি বলেন, ভোটের দিন ইসির অনুমোদন ছাড়া কোনো যান্ত্রিক যানবাহন চলবে না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, সরকারি গাড়ি, সেবা সংস্থা- যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র পরিবাহী গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

তখন এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভোট দেওয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন কি-না, তা জানা নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বলতে পারবেন।

‘ভোট কেন্দ্রে প্রিজাইডিং ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে ভোটাররা চাইলে সঙ্গে মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে তা সুইচ অফ রাখতে হবে। ভোটাররা কোনোভাবেই বুথ ও কেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।’

ফলাফল ঘোষণার প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা হবে। প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রেই ভোট গণনা করবেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং, প্রার্থীর এজেন্টেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। ভোট গ্রণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার লিখিত ফলাফল সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করবেন। পরে এ ফলাফল রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাবেন। রিটার্নিং অফিসাররা তা ইসিতে পাঠাবেন। ইসির ফোয়ারা প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে। এ চত্বরে ইসি ১০টি মনিটরের মাধ্যমে ফলাফল প্রদর্শন করবে।

‘নির্বাচনের নিরাপত্তায় ইসির তরফে প্রায় সাত লাখের কাছাকাছি নিরাপত্তা সদস্য, সাত লাখ বেসামরিক কর্মকর্তা ও এক লাখ পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা থাকবেন। আশা করি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’

‘পোলিং অফিসাররা সকাল ৮টার আগেই প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নিয়োগপত্র দেখাবেন। এসব বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি ব্যবস্থা নেবে।’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইসি এরই মধ্যে যতোগুলো অভিযোগ পেয়েছে, সবই তদন্ত কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে মামলা দায়েরেরও নির্দেশনা দিয়েছি। ইসি সচিব বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ বিভাগ থেকে চিহ্নিত করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top