ইরানকে শক্তভাবে চেপে ধরছে যুক্তরাষ্ট্র

আগামী মে মাসেই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইতঃপূর্বে ইরানের অর্থনীতির যেসব খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সেগুলোই এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। ২০১৫ সালের ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে আসার বর্ষপূর্তিতে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের মে মাসে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর একটি শীতল প্রভাব অব্যাহত রাখবে।

ইরানের সাথে ব্যবসায়কে একটি ভয়ঙ্কর ধারণা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় হোয়াইট হাউজ। ইতোমধ্যেই ইরান থেকে অশোধিত তেল কেনা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন জাপানের পাইকারি তেল বিক্রেতারা। গত নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পুনরায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার মধ্যে অশোধিত তেল রফতানিও রয়েছে। তবে জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশকে এক্ষেত্রে আগামী মে মাস পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়। ফলে এ সময়ের পর ইরানের তেল সংগ্রহ করা জাপানি ব্যবসায়ীদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়বে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণকাজ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন তেহরানের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ শুরু করেছে।

টুইটারে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ইরানে নজিরবিহীন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে উদ্ধার ও ত্রাণতৎপরতা চালানোর ক্ষেত্রে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিকে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি হেলিপ্টারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানি করতে পারছে না। এটি শুধু অর্থনৈতিক যুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ। তেহরানের দাবি, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সাথে ইরানের যে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল, একই মাসে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে সেটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়েছে। ফলে সব দেশ এটি মেনে চলতে বাধ্য।

সূত্র : রয়টার্স

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top