আপনার কথা বলার ধরণেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার ‘ইমেজ’

উচ্চারণের মিল থাকলে নাকি বন্ধুত্ব ভালো হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এই গবেষণার এক অন্যতম গবেষক মার্ক পেল জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ রয়েছেন, যাদের দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজী। সমাজে বেশিরভাগ মানুষই ভিন্ন ধর্মের এবং সংস্কৃতিগত ভাবেও তাদের তফাত রয়েছে’। সামনের অচেনা ব্যক্তিকে বিশ্বাস করবেন কিভাবে? প্রচুর প্রশ্নই মাথায় আসে।

কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তো ক্রমাগত প্রশ্ন করে সন্দেহ করা যায় না। সেক্ষেত্রে তাকে যাচাই করার ক্ষেত্রে তার চেহারার সঙ্গে কণ্ঠস্বরের দিকেও গভীর মনোযোগ প্রদান করতে হয়। কথা বলার ধরণ দেখেই নাকি মানুষ চেনা যায়!

বন্ধুদের একটি গ্রুপের মধ্যে যদি একজন ভিন্নভাষী হন বা আপনার উচ্চারণের সঙ্গে তার উচ্চারণের কোনও তফাত থাকে আপনার তার সাথে মিশতে একটু সমস্যা হয়, শুধু তাই’ই নয় আপনার বিশ্বাস অর্জন করতেও তাকে বেশ খানিকটা কাঠখড় পোড়াতে হয়। তার উচ্চারণের তারতম্যের জন্যই আপনার মনে নানা ধরণের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আর এই দ্বৈত নিয়েই ব্যস্ত হয়ে ওঠে আপনার মন। কারন ভাষা ও কথা বলার ধরণ আলাদা হলে অনেকক্ষেত্রেই তার বক্তব্য আপনি পুরোটা বুঝতে না পারার কারণে সন্দেহের জন্ম হয়।

কিন্তু সেখানেই যদি অপরপক্ষের মানুষটি আপনার অপরিচিত হলেও যদি তিনি আপনার ভাষায় আপনার মতো করেই কথা বলেন, আপনি দ্রুত প্রভাবিত হয়ে পড়েন। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব খানিকটা হলেও সেক্ষেত্রে কম থাকে।

গবেষকেরা দেখেছেন, বক্তা যেখানে স্থানীয় বা বিদেশী ভাষায় অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় কথা বলতে পারেন,তার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটাই বেশি তৈরি হয়।

এই গবেষণার অন্য জিয়াওমিং জিয়াং নামে এক ব্যক্তি বলেন, কথা বলার ক্ষেত্রে যে ভাষায় কথা বলছেন সেই ভাষায় সাবলীল হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। আপনি নিজের ভাষা সম্পর্কে নিশ্চিত হলে আপনার সামনের মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করতে নিশ্চিত হবে। নিজের ভাষার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিশ্বাস অর্জনের ক্ষেত্রেই যে আপনাকে কনফিডেন্ট হতে হবে তাই নয় চাকরি,পড়াশুনো যেকোনও ক্ষেত্রেই আপনার ভাষার প্রতি কনফিডেন্ট হওয়াটা খুব জরুরী।

সম্প্রতি ‘NeuroImage’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। সুতরাং এবার থেকে কথা বলার আগে ভেবে বলুন৷

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top